থাইরয়েডে
সকালবেলা ঘুম চোখ খুলতে না খুলতেই হাতে ওষুধ। কারণ, থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। গলা এবং ঘাড়ের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত প্রজাপতির মতো দেখতে এই গ্রন্থিটি বিভিন্ন ধরনের হরমোন নিঃসরণ এবং দেহের প্রায় সব ধরনের বিপাক প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা দেখা দিলে গলগণ্ড থেকে ক্যান্সার, হতে পারে নানা রকম রোগ।পুরুষদের চেয়েও নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায় এই অসুখ। যা একবার ধরলে সহজে সঙ্গ ছাড়ে না।
চিকিৎসকদের মতে, একবার থাইয়েডের সমস্যা ধরা পড়লে, তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধ না খেয়ে উপায় নেই। অনেক সময় ওষুধ খেয়েও যে খুব নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাও নয়। কারণ, ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি জীবন যাপনেও পরিবর্তন আনতে হয়। তবে রান্নাঘরে থাকা একটি মশলাও কিন্তু থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বাঙালিদের রান্না ঘরে ধনে থাকে না, এমন তো হয় না! এই মশলা দিয়ে তৈরি ‘চা’ কিন্তু থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা নেয়। ‘চা’ বলে ডাকা হলেও এটি কিন্তু চা নয়।
ধনিয়া দিয়ে তৈরি এই পানীয় বানানো যায় খুব সহজে। এক কাপ হালকা গরম পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন এক টেবিল চামচ ধনিয়া। পরের দিন সকালে এই ভিজিয়ে রাখা ধনিয়া ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এর পর ঐ পানিতে থেকে ধনিয়া বীজ ছেঁকে নিয়ে চায়ের মতোই খেয়ে নিন এই পানীয়। চাইলে এই পানীয়ে মেশাতে পারেন সামান্য মধুও। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেলে কাজ হবে দ্রুত।
সূত্র: আনন্দবাজার