বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

মানিকগঞ্জ নিউজ ২৪ :: ManikganjNews24 - মানিকগঞ্জের খবর

গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:২৫, ১২ অক্টোবর ২০২৩

গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

সংগৃহীত

গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার প্রচলন নতুন নয়। একটা সময় যখন চিকিৎসাসেবা এতটা সহজলভ্য ছিল না, তখনও কিন্তু গর্ভবতী নারীদের খেজুর খাওয়ার অভ্যাস ছিল। এর বড় কারণ হলো, গর্ভাবস্থায় নিয়মিত খেজুর খেলে লেবার পেইন অনেকটা কম হয়। এটি মনগড়া কোনো কথা নয়, বরং অনেকগুলো গবেষণা শেষে এমন তথ্যই জানিয়েছেন গবেষকরা। গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে তা  ইউটেরাসের সংবেদনশীলতা কমিয়ে তাকে শক্তিশালী করে। এতে প্রসব ব্যথা অনেকটাই কম হয়।

গবেষণা কী বলছে

আমেরিকার ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন-এর এক গবেষণায় বলা হয়েছে, গর্ভাবস্থার পয়ত্রিশ সপ্তাহ পর থেকে প্রতিদিন ছয়টি করে খেজুর খেলে তা মা ও অনাগত শিশুর জন্য বেশ উপকারী হয়। সেইসঙ্গে সন্তান জন্ম দেওয়াও অনেকটা সহজ হয়ে যায়। গবেষণায় তারা দেখেছেন, যেসব নারী গর্ভাবস্থায় খেজুর খেয়েছেন তাদের সার্ভিক্স অনেক বেশি ফ্লেক্সিবল ছিল, যে কারণে সন্তান প্রসব করা অনেক সহজ ছিল। খেজুর খেলে তা লেবারের সময়ও কমিয়ে দেয়, ফলে মাকে কষ্ট কম পেতে হয়।

বাড়তি শক্তি যোগ করে

সন্তান প্রসবের আগে এবং প্রসবের সময় একজন নারীর অনেক বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়। সুস্থ সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য প্রয়োজন পড়ে অতিরিক্ত শক্তির। খেজুরে থাকে অনেক বেশি নিউট্রিয়েন্টস। যে কারণে গর্ভাবস্থায় নিয়মিত খেজুর খেলে গর্ভবতী মায়ের শরীরে বাড়ে শক্তির মাত্রা। সেজন্য প্রসবের সময় বাড়তি শক্তির যোগান সে সহজেই দিতে পারে।

কার্বোহাইড্রেটস

খেজুরে থাকে প্রচুর কার্বোহাইড্রেটস। এছাড়াও থাকে ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ, যা শরীরে শক্তি যোগায়। এছাড়া এই ফলে গ্লুকোজও থাকে পর্যাপ্ত, যা গর্ভাবস্থায় ধরে রাখা খুব বেশি জরুরি। তাই গর্ভাবস্থায় নিয়মিত খেজুর খাওয়ার বিকল্প নেই। 

প্রসবপ্রক্রিয়া স্বাভাবিক করে

গর্ভাবস্থার শেষের দিকে এসে প্রতিদিন ৬০-৮০ গ্রাম খেজুর খেলে সার্ভিক্স মজবুত হয়। এর ফলে কৃত্রিমভাবে কিংবা ওষুধ ‍দিয়ে প্রসব ব্যথা সৃষ্টি করার দরকার হয় না। এই প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবেই ঘটে থাকে।

দ্রুত রক্ত উৎপাদন করে

সন্তান প্রসবের সময় শরীর থেকে অনেক রক্ত বের হয়ে যায়। এর ফলে মায়ের শরীর দুর্বল হয়ে যায়। গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবের পরে নিয়ম করে খেজুর খেলে তা শরীরে দ্রুত রক্ত উৎপাদন করে। এতে মা তার হারানো শক্তি বেশ দ্রুত ফিরে পান।

কমায় প্রসব বেদনা

খেজুরে থাকে উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপাদান প্রসবের সময়ে সারভাইক্যাল মাসল ফেলিক্সিবল করে ও কমনীয় করে তোলে, যে কারণে প্রসব বেদনা অনেকটাই কম অনুভূত হয়।

শেয়ার করুন:
Right Side Advertisement

সর্বশেষ

সর্বাধিক জনপ্রিয়